প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

জামিয়া ইলমে মদিনা"
স্থাপিত হয় ২০১৩ সালে সেই সময় থেকে অত্যন্ত সুনামের সাথে প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়ে আসছে এবং শত শত শিক্ষাথীদের সনদ প্রদান করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ বিভাগের মধ্যে প্রথম কিন্ডার গার্টেনহস হিফজ ও কিতাব বিভাগের সম্মিলিত একটি বেসরকারী দরসে নেজামী প্রতিষ্ঠান।
মননশীল পরিবেশ, খেলার মাঠ, লাইব্রেরি, কম্পিউটার ল্যাব, ৩ বেলা রুটিন মোতাবেক উন্নত খাবার সহ অনেক সুযোগ সুবিধা সম্মিলিত প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইলমে মদীনা।
এটি নেত্রকোনা সদর, সতরশ্রী গ্রামে,নেত্রকোনা - মোহনগন্জ হাইওয়ে রোড সংলগ্ন উপস্থিত। প্রতিষ্ঠানটিতে শিশু বিভাগ থেকে শুরু করে ইসলামী সর্বোচ্চ বিভাগ,হাদিস, তাফসীর ও ফিকহ পাঠদান সহ সনদ প্রদান করা হয়। এতে হিফজ বিভাগ ও কিতাব বিভাগের এবং বালক ও বালিকা বিভাগের ভিন্ন ভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে।
এ প্রতিষ্ঠানটি
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ইমাম ও হানাফী মাযহাবের বিজ্ঞ কর্ণধার ইমাম আহমাদ রেজা রাদিয়াল্লাহু আনহুর মসলকে পরিচালিত।
এতে দুনিয়া আখিরাতের বিজ্ঞ কারিগর তথা সুনাগরিক তৈরী করা এবং দুনিয়া- আখিরাতের কামিয়াবী অর্জন করাই আমাদের উদ্দেশ্য।
প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
আজকের এই শুভ মুহূর্তে, আমি জামিয়া ইলমে মদীনার পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। জামিয়া ইলমে মদীনা শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং এটি একটি আদর্শ গড়ার কেন্দ্র, যেখানে জ্ঞান, নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিকতার সমন্বয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভিত রচনা করা হয়।
আমরা বিশ্বাস করি, একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে ইলমে দ্বীনের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই, জামিয়া ইলমে মদীনা যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম, আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি এবং নৈতিক শিক্ষার সমন্বয়ে শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আপনারা আমাদের পাশে থাকুন, দোয়া করুন। আমরা যেন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি আলোকিত সমাজ বিনির্মাণ করতে পারি, যেখানে শান্তি, ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হবে।
আল্লাহ আমাদের সকলকে কবুল করুন। আমিন।"
তোমাদের প্রতি আমার আন্তরিক সালাম ও ভালোবাসা। তোমরা হচ্ছো জামিয়া ইলমে মদীনার ভবিষ্যৎ, জাতির ভবিষ্যৎ। তোমরা জ্ঞান অর্জনের পবিত্র দায়িত্ব পালন করছো, যা তোমাদের জীবনকে আলোকিত করবে এবং সমাজকে উন্নত করবে।
প্রিয় ছাত্রবৃন্দ
তোমরা মনে রাখবে, ইলম বা জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি, চরিত্র গঠন করাও অপরিহার্য। কারণ, চরিত্রহীন জ্ঞান আলোহীন প্রদীপের মতো, যা পথ দেখাতে পারে না। তোমরা সবসময় সত্য কথা বলবে, ভালো কাজ করবে এবং পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে।
তোমরা অধ্যবসায়ী হবে, শিক্ষকদের সম্মান করবে এবং বন্ধুদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবে। তোমাদের মনে রাখতে হবে, তোমরা শুধু শিক্ষার্থী নও, বরং তোমরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ নেতা। তোমাদের হাত ধরেই একদিন এই দেশ ও জাতি উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছবে এবং আখেরাতের মুক্তির পথ পাবে ইনশাআল্লাহ।
তোমরা দ্বীনের পথে অবিচল থাকবে এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করুন, তোমাদের জীবনকে বরকতময় করুন এবং তোমাদের মাধ্যমে দ্বীনের খেদমত নেওয়ার তৌফিক দিন। আমিন।"
নির্বাহী পরিচালক

জামিয়া ইলমে মদীনা: ২০১৩ সাল থেকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আদর্শে জাতির খেদমতে নিবেদিত।
মুফতী নাজিরুল আমিন রেজভীর অনুপ্রেরণায়, জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত হোক আমাদের পথচলা।
জামিয়া ইলমে মদীনা: আমি নাঈমুল আমিন রেজভী নির্বাহী পরিচালক হিসেবে, মুফতী নাজিরুল আমিন রেজভীর প্রদর্শিত পথে,
শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনায় নিবেদিত।"
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন: ইলমে দ্বীন অর্জনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা। জ্ঞান মানুষকে আল্লাহর প্রতি আরো বেশি অনুগত করে তোলে এবং তাঁর নির্দেশিত পথে চলতে সাহায্য করে।
উত্তম আদর্শ স্থাপন: ইলমে দ্বীন সম্পন্ন ব্যক্তিরা সমাজে উত্তম আদর্শ স্থাপন করেন। তারা অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেন এবং ভালো কাজের প্রতি উৎসাহিত করেন।
সমাজের কল্যাণ: ইলমে দ্বীন সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জ্ঞানী ব্যক্তিরা সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করেন, মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি করেন এবং সঠিক পথে পরিচালিত করেন।
রাসূল (সা.)-এর ওয়ারিশ: ইলমে দ্বীন অর্জনকারীরা হলেন নবী-রাসূলগণের (আ.) ওয়ারিশ। কারণ, তাঁরা তাঁদের অর্জিত জ্ঞান অন্যদের মাঝে বিতরণ করেন এবং দ্বীনের আলো ছড়িয়ে দেন।
পরিশেষে, ইলমে দ্বীন মুসলমানদের জন্য অপরিহার্য। এটি একজন মুসলমানের জীবনকে সুন্দর ও অর্থবহ করে তোলে এবং আখেরাতে অনন্ত জীবন দানে সাহায্য করে । তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত, জ্ঞান অর্জনের প্রতি মনোযোগী হওয়া এবং ইলমে দ্বীনের গুরুত্ব অনুধাবন করা।